[ঢাকা, ২ নভেম্বর’ ২০২৩] শিার মান বৃদ্ধি এবং একাডেমিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার ল্েয গত ৩১ অক্টোবর ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি অপারেশনাল অ্যালায়েন্স চুক্তি স্বার করে। এই চুক্তি স্বার বাংলাদেশে উচ্চশিার মান উন্নয়নে উভয় পরে প্রচেষ্টা আরো জোরদার করবে।
উচ্চ শিার মানোন্নয়নে যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশের মধ্যে কৌশলগত, পারস্পরিকভাবে লাভজনক এবং ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ২০২১ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গোয়িং গ্লোবাল পার্টনারশিপ (জিজিপি) চালু করা হয়। এই প্রোগ্রামের আওতায় উচ্চশিা এবং কারিগরি শিা ও প্রশিণ (টিভেট) ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, গবেষণা সহযোগিতা, প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিকীকরণ, শিার্থীদের দতা বৃদ্ধি, লিঙ্গ সমতা এবং সবার অংশগ্রহণ (অন্তর্ভুক্তিকরণ) নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, নীতিনির্ধারক এবং অন্যান্য পার্টনারদের মধ্যে মধ্যে অংশীদারিত্বের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী উচ্চশিা এবং কারিগরি শিার মানোন্নয়নে প্রায় ৫০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশে এই উদ্যোগের অধীনে ব্রিটিশ কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহযোগিতায় উচ্চশিাযেেত্র শিাদান ও শিাগ্রহণের দতা বৃদ্ধিতে আরও কাজ করে যাবে,যা পূর্বের সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন টিচিং অ্যান্ড লার্নিং উদ্যোগের ধারাবাহিকতা।
এই অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল এই চুক্তিটি স্বার করেছে। এই চুক্তির অন্যতম একটি অংশ হল টিচিং এক্সিলেন্স প্রোগ্রাম যেটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিকদের শিখন-শিনের ব্যবহারিক পন্থা এবং নেতৃত্বের কৌশল দতা উন্নয়ন; শিার্থী কেন্দ্রিক শিখন শিণ পদ্ধতি এবং কার্যকরী মূল্যায়নের দতা উন্নয়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে. নবীন গবেষকদের গবেষণা বিষয়ক দতা উন্নয়ন; শিকদের ইংরেজি দতা উন্নয়ন; নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মসূচির উন্নয়ন; বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে উচ্চ শিা সেক্টরে একাডেমিক অংশীদারিত্ব তৈরি করা – এই চুক্তির অংশ।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ডক্টর ফেরদৌস জামান উচ্চশিা সংক্রান্ত এই অপারেশনাল অ্যালায়েন্স চুক্তিতে স্বার করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিশশা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের উচ্চশিার মানোন্নয়নে সহায়তা করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিভিন্ন কোর্স তৈরি, ফ্যাকাল্টি বিনিময় ও গবেষণা সংক্রান্ত উদ্যোগকে উৎসাহিত করা গোয়িং গ্লোবাল পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের ল্য। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের উচ্চশিা খাতে পরস্পরের জন্য হিতকর এমন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আমরা ইউজিসি এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাবো।”
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, “ইউজিসির ল্য এবং উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উচ্চশিা ত্রেকে উন্নত করা। আমরা এমন একটি উচ্চশিা ব্যবস্থা তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছি যা শুধুমাত্র সবাইকে উচ্চশিার সুযোগ প্রদান করবে না, সেই সাথে সর্বোচ্চ শিামান নিশ্চিত করবে এবং আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিলকে এই যাত্রায় বিশ্বস্ত পার্টনার হিসেবে পেয়ে আনন্দিত।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহউদ্দিন আহমেদ এবং ইউজিসি ও ব্রিটিশ কাউন্সিল এর অন্যান্য কর্মকর্তারা।